পঞ্চম বিয়ে করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা চতুর্থ স্ত্রীর
Published: 23rd, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরে স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক নারী। রোববার নগরের হালিশহর থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর লেইনের মর্জিনার মার কলোনীর দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, না জানিয়ে পঞ্চমবার বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মো.
পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে ওই নারীর সঙ্গে আলাউদ্দিনের বিয়ে হয়। তারা নগরের হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকতেন। আলাউদ্দিন কখনো রিকশা চালাতেন কখনো আবার ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালাতেন। আগের তিন স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দেড় মাস আগে পঞ্চম বিয়ে করেন আলাউদ্দিন। তাকে গ্রামের বাড়িতে রাখেন। বিষয়টি সম্প্রতি জানতে পারেন চতুর্থ স্ত্রী। তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কলহ শুরু হয়।
হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার রাতে তাদের মধ্যে আবার কলহ দেখা দেয়। ভোরের দিকে ক্ষুব্ধ স্ত্রী দা দিয়ে কুপিয়ে আলাউদ্দিনকে হত্যা করেন। এরপর পর লাশের পাশেই বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা-ও উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ল শহর
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল