সিদ্ধিরগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আমরা মোহমেডানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী তাঁর পরিবার ও কেন্দ্রীয় আমরা মোহা মেডানের পক্ষ থেকে কর্মসূচিগুলো পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- কুরআন খতম, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও মরহুমের কবর জিয়ারত।

সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া পাঠানটুলি মোড়ে কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সাধারন সম্পাদক ডি এইচ বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।

দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়া বাঘমারা এলাকায় কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের যুগ্ম-সম্পাদক  আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে কোরআন খতম, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।

বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আমবাগ এলাকায় আমরা মোহামেডান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।

পরে পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রধান উপদেষ্টা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সভাপতি খোরশেদ আলম নাসির, যুগ্ম-সম্পাদক  আকবর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ মিলন, আলী আকবর খাঁন, জামাল প্রধান, শহীদুল ইসলাম ভূঞা, তোফাজ্জল হোসেন, শিপনসহ আরো অনেকে। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব বলেন, আমার স্বামী মরহুম হাবিবুর রহমান একজন ভালো মানুষ ছিলেন সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন, কিভাবে মানুষের সেবা করা যায় সেই চিন্তা করতেন। আপনারা আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহতালা তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিব আপনাদের এলাকা উন্নয়নে জন্য অনেক ভূমিকা পালন করেছে। আমার মরহুম শশুর এই এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য একটি চক্ষু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিস চিকিৎসা কেন্দ্র গঠন করেছিলেন।

সেই চিকিৎসা কেন্দ্রটি অনেক দিন যাবৎ বন্ধ আছে, আমরা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে চক্ষু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিস চিকিৎসা কেন্দ্রটি পূনরায় চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।

আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই, আপনারা আমার পাশে থাকলে অতি দ্রুত এই সেবা কেন্দ্রটি আমরা চালু করতে পারবো। সেবা কেন্দ্রটি চালু থাকলে এই এলাকায় অসহায়,গরীব মানুষ গুলো সেবা পবে। আপনারা আমার ও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ হ ব ব র রহম ন হ ব ব ক ন দ র য় আমর স দ ধ রগঞ জ পর ব র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর লুটের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। কেন্দ্র থেকে পদ স্থগিত হওয়া একজন নেতার পক্ষে এমন বিবৃতি দেওয়ায় দলের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

গত শনিবার রাতে সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকা থেকে সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। গত ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় বিএনপি চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ দলীয় নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করে।

গতকাল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মন্নান ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সাহাব উদ্দিন বিগত স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রসৈনিক ও মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত নেতা। তাঁকে সাদাপাথর লুটের মামলায় মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানোয় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মন্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সাহাব উদ্দিনের চাচাতো ভাই। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে আছি। আমরা তাঁকে ভালোভাবে চিনি। তিনি কোনো লুটপাটে ছিলেন না। বরং লুটপাটের বিরুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বে আমরা মিছিল, মানববন্ধন করেছি। এ তথ্য আমরা মৌখিকভাবে জেলা বিএনপিকেও জানিয়েছি।’

উপজেলা বিএনপির বিবৃতিতে সাহাব উদ্দিনের বিষয়ে ‘মিথ্যা অভিযোগে সদ্য পদ স্থগিত হয়েছে’ বলে দাবি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে জেলা বিএনপির অবস্থান ও কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এমন অবস্থায় উপজেলা বিএনপি কীভাবে ওই নেতার পক্ষে বিবৃতি দেয়, সেটা অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। ব্যক্তির অপকর্মের দায় কেন সংগঠন নেবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৭ মার্চ প্রথম আলোয় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৮ মার্চ সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ একর জমি উদ্ধার করে এবং ১০০টি পাথর ভাঙার যন্ত্র উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করা হয়।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় ১৯ মার্চ সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত ১০ এপ্রিল ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে সাহাব উদ্দিন ও তাঁর স্বজনেরা জমি দখল ও লুটপাটে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা সভাপতির নেতৃত্বে এমন অপরাধ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে ‘সাদাপাথর লুটপাটে অভিযুক্ত অন্যতম মূলহোতা’ হিসেবে উল্লেখ করে। সাদাপাথর লুটের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় গত ১৫ আগস্ট খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি