বন্দরে মলমপার্টির সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ
Published: 24th, February 2025 GMT
বন্দরে চালককে অচেতন করে অটোগাড়ী ছিনিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা শামীম (২২) নামে এক মলমপার্টি সদস্যকে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আটককৃত মলমপার্টি সদস্য শামীম সুদূর নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দায়েজপুর এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে ঢাকা রামপুরা থানার বনশ্রী ৪নং রোড এলাকায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ আটককৃতকে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পুলিশ আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জস্থ তৃতীয় শীতলক্ষার সেতু উপর থেকে ওই মলমপার্টিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বন্দরে অটো মিশুক চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরে অজ্ঞাত নামা ছিনতাইকারী ও মলমপার্টি সদস্যরা যাত্রী সেঁজে অটো কিংবা মিশুক গাড়ীতে উঠে কোন কোন সময়ে চালককে কুপিয়ে আবার কোন কোন সময়ে চালককে অচেতন করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল্যবান সম্পদ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসীম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।
আরো পড়ুন:
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। পরে আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে, কারো আঘাতই গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।’’
গজারিয়া থানার ওসি মো. হাসান আলী বলেন, ‘‘জনতার হাতে আটক তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব