শুধু পিকনিক করার জন্য একটা সংগঠন হতে পারে না, বললেন আবুল হায়াত
Published: 24th, February 2025 GMT
‘ডিরেক্টরস গিল্ড নিয়ে প্রতিবার একই রকম স্বপ্ন দেখি। এবারও তেমনই প্রত্যাশা। আমি মনে করি এবার যাঁরা দায়িত্বে এসেছেন, তাঁরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারবেন, যেগুলো এর আগে হয়নি। বেশির ভাগই দেখা যায় গৎবাঁধা, গড্ডলিকার মতো কিছু কাজ হয় প্রতিবার। কিন্তু জরুরি বা সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে কাজ করা দরকার, সেগুলো হয় না।’ ছোট পর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড নিয়ে আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন গুণী অভিনেতা ও পরিচালক আবুল হায়াত।
গুণী এই অভিনেতা আরও জানান, ডিরেক্টরস গিল্ড নির্বাচনের আগে ও পরে প্রতিবারই তিনি আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু পরে তাঁকে বেশির ভাগই হতাশ হতে হয়। তাঁর মতে, একটি সৃজনশীল সংগঠনে যেগুলো বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা, সেগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে না।
গুণী অভিনেতা ও পরিচালক আবুল হায়াত ভোট দিতে এসেছিলেন।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী