প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমিরাতে নারী ফুটবল দল
Published: 25th, February 2025 GMT
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আমিরাতে পৌঁছায় তারা। তার আগে, সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়ে দলটি। সফরে আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ- প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল, দ্বিতীয়টি ২ মার্চ।
এই সফরকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেন প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলার। দলে জায়গা পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তবে কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সাবিনা খাতুনসহ সাফজয়ী ১৮ ফুটবলারকে রাখা হয়নি।
এদিকে প্রায় চার মাসের বিরতির পর মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী দল। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি দলটি।
নারী দলের অনুশীলন শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রধান কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দেননি অভিজ্ঞ ১৮ ফুটবলার। ফলে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠন করা হয়েছে দল, যা অনেকটাই ‘নতুন বাংলাদেশ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাটলারের দলে সাফজয়ী স্কোয়াডের মাত্র আটজন আছেন, আর নতুন মুখও আটজন। তাদের বেশিরভাগেরই বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ১১৬, আর বাংলাদেশের ১৩২। র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও দলের প্রতি আত্মবিশ্বাসী কোচ বাটলার। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নতুন, তাই ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আমি তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল আম র ত ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’
কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’
বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’