ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আমিরাতে পৌঁছায় তারা। তার আগে, সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়ে দলটি। সফরে আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ- প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল, দ্বিতীয়টি ২ মার্চ।

এই সফরকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেন প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলার। দলে জায়গা পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তবে কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সাবিনা খাতুনসহ সাফজয়ী ১৮ ফুটবলারকে রাখা হয়নি।

এদিকে প্রায় চার মাসের বিরতির পর মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী দল। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি দলটি।

নারী দলের অনুশীলন শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রধান কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দেননি অভিজ্ঞ ১৮ ফুটবলার। ফলে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠন করা হয়েছে দল, যা অনেকটাই ‘নতুন বাংলাদেশ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাটলারের দলে সাফজয়ী স্কোয়াডের মাত্র আটজন আছেন, আর নতুন মুখও আটজন। তাদের বেশিরভাগেরই বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ১১৬, আর বাংলাদেশের ১৩২। র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও দলের প্রতি আত্মবিশ্বাসী কোচ বাটলার। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নতুন, তাই ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আমি তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল আম র ত ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ