সুপারশপের কেনাকাটায় ক্রেতাকে পাঁচ বা সাড়ে সাত শতাংশ বাড়তি ভ্যাট দিতে হবে না। পণ্যের খুচরামূল্য হিসেবে যা লেখা থাকবে, তা দিলেই চলবে।

আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

নির্দেশনায় এনবিআর বলেছে, সুপারশপ কর্তৃক সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) পণ্য সরবরাহ করা হলে ওই মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভ্যাট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ভোক্তার কাছ থেকে আদায়ের সুযোগ নেই। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদানকারী সুপারশপগুলো আইনের অন্য বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে উপকরণ রেয়াত নিতে পারবেন। তবে সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করা হলে রেয়াত গ্রহণের আইনগত সুযোগ নেই।

এত দিন ধরে সুপারশপে কেনাকাটা করার সময় কখনো দেড় শতাংশ, কখনো দুই শতাংশ, কখনো বা পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। সর্বশেষ বাজেটের সময় সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানান, ১৫ শতাংশ ভ্যাট হলে তা খুচরামূল্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে সুপারশপের মালিকদের ভ্যাট রেয়াত নেওয়া সহজ হবে। রেয়াত নিতে সুপারশপের মালিকেরা যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল কেনেন, সেখান থেকে ভ্যাটের নিতে হবে।

বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বর্তমানে সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি সুপারশপ রয়েছে। এর মধ্যে চেইন সুপারশপ আছে ৬০০–এর মতো। পাঁচ বছর আগেও সুপারশপের সংখ্যা ছিল কয়েক শ। দেশের বড় চেইন সুপারশপগুলোর মধ্যে রয়েছে আগোরা, স্বপ্ন, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং, ইউনিমার্ট, আলমাস, প্রিন্স বাজার, ডেইলি সুপারশপ প্রভৃতি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প রশপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ