ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সেনা প্রাঙ্গণে জমকালো আয়োজনে সমাবর্তনে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ২১ ব্যাচের মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে তাঁদের অসাধারণ একাডেমিক পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ছাড়াও করপোরেট অঙ্গনের শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড ও ডিগ্রি হস্তান্তর করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং উপাচার্য অধ্যাপক এনামুল বশির। বিশেষ বক্তব্য দেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আজ সবার একাডেমিক যাত্রার সমাপ্তি হচ্ছে। এখান থেকেই শুরু হবে সুস্থ সমাজ ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সবার নতুন যাত্রা। সবাই সততা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে জ্ঞান প্রয়োগ করবে এবং বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।’

এনামুল বশির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এমন ডেডিকেশন ও ডিটারমিনেশন সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীর পথচলায় সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখবে বলে আমি আশা করছি।’

ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (অব.

) বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য তাঁদের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও সাফল্য অর্জন করবে এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। বিওটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হক শুহান তাঁর বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের সাফল্য কামনা করে দেশ গঠনে উৎসাহিত করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ