Samakal:
2025-11-03@05:03:07 GMT

নিয়মিত ওটস খাওয়ার উপকারিতা 

Published: 27th, February 2025 GMT

নিয়মিত ওটস খাওয়ার উপকারিতা 

ওটস একটি পুষ্টিকর গোটা শস্য । এতে থাকা ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে সাহায্য করে । সকালের নাশতায় ওটস পোরিজ, স্মুদি, সালাদ আকারে খেতে পারেন। 

সকালে ওটস খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

শরীরে শক্তি যোগায়: ওটস শরীরের হজমশক্তি উন্নত করে ৷ শরীরে একটানা শক্তি জোগায় । এটি আপনাকে সারাদিন শক্তিতে পূর্ণ রাখে ৷ এর ফলে আপনার সারাদিন কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে ।

ফাইবার সমৃদ্ধ: ওটসে বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে ৷ যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখার পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিও করে । এটি ক্ষুধা কমায়। সেই সঙ্গে ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

কোলেস্টেরল কমায়: ওটসে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ৷ এর ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং হৃদরোগজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় ৷

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: নিয়মিত ওটস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী । এটি হঠাৎ রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে ।

হজম শক্তি উন্নতি করে: ওটসে থাকা দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে ৷ এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ।

প্রোটিনের উৎস: ওটসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় এটি পেশিকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরের টিস্যু মেরামত প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে । 
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: ওটসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। এর ফলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ওজন কমাতে সহায়ক: প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে ৷ ফলে অতিরিক্ত খাবার বা স্ন্যাকসের প্রয়োজনীয়তা দূর হয় । এইভাবে এটি ওজন হ্রাস এবং বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজমশক ত স হ য য কর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ