সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঢাকার নন্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান টুটুল (৪১) ও একই এলাকার ফিনল্যান্ড প্রবাসী মো. হাবিব (৩৯) ৷

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ওয়াহিদ মোরশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার টিপুরদী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘটে বলে জানান |

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাতে ওসি ওয়াহিদ বলেন, টুটুল ও হাবিব দুই বন্ধু। তারা মোটরসাইকেলে করে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে আসেন। মেঘনা নদীতে গোসল করে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁ জাদুঘর) ও পানাম নগরে যান।

ঘোরাফেরা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে টিপুরদী এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”

ঘটনার পর বাসসহ চালক পালিয়ে গেছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছেন।
 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ