রামপুরা হাজিপাড়ায় বাসচাপায় আলী হোসেন তালুকদার (৩৪) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় রমজান পরিবহনের বাসটি ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাজিপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী হোসেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাবরক্ষক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আবু হানিফ সোহান জানান, হাজিপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এ সময় রমজান পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে তার মাথা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলী হোসেন।

হানিফ আরো জানান, ওই বাসের কোনো লুকিং গ্লাস ছিল না। মোটরসাইকেল চালক বারবার হর্ন দেওয়া সত্বেও কানে শোনেনি বাসের চালক। আলী হোসেনকে অনেক আগে থেকেই ফুটপাতের দিকে চাপ দিচ্ছিলেন চালক। এতে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে ওই বাসেরই চাকার নিচে পিষ্ট হন আলী হোসেন। ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে পরে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিহত আলী হোসেনের বড় ভাই মো.

আলম তালুকদার জানান, তাদের বাড়ি পিরোজপুরের সদর উপজেলার কুমিরমারা গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল আজিজ তালুকদার। আলী হোসেন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদ এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাবরক্ষক ছিলেন তিনি।

বড় ভাই আলম আরো জানান, গত সাত-আট মাস আগে বিয়ের কাবিন হয় আলী হোসেনের। ৬ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে আলী হোসেন ছিলেন সবার ছোট।

রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘বিকেলে হাজিপাড়া এলাকায় রমজান পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান ওই যুবক। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করে। বাসসহ চালককে আটক করা হয়েছে।’’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রামপুরা থানা অবগত আছে।’’

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ