দুদকের দুই মামলায় চার প্রকৌশলীসহ আসামি ৬
Published: 27th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কিসমত জাফরাবাদ আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজে দুর্নীতি করে ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তিন প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারকে আসামি করে মামলা করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন গৃহায়নের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার মোর্শেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান ও ঠিকাদার মেসার্স হক কনস্ট্রাকশন প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মেসার্স ইউটি মং (জেভি) মালিক মাঈনুল কবির।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ফ্ল্যাট জালিয়াতি করে সাড়ে ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল আলমসহ দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। সহকারী পরিচালক ইমরান খান এ মামলা করেন।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপপরিচালক আতিকুল আলম বলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এতে চারজন প্রকৌশলী, এক ঠিকাদার ও অপর এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন