সার্চ ফলাফল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে গুগল। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ঠিকানা, ফোন নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্য শনাক্ত করতে নিজেদের ‘রেজাল্টস অ্যাবাউট ইউ’ টুলও হালনাগাদ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই হালনাগাদের ফলে ব্যবহারকারীরা সরাসরি সার্চ পেজ থেকে গুগলের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য অপসারণের অনুরোধ জানাতে পারবেন।

গুগলের তথ্যমতে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোনো সংবেদনশীল তথ্য অন্যদের সার্চ ফলাফলে প্রদর্শন করা হচ্ছে কি না, তা ‘রেজাল্টস অ্যাবাউট ইউ’ টুলের মাধ্যমে সহজেই নজরদারি করা যাবে। তবে এ সুবিধা পেতে হলে গুগলকে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই–মেইল ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। পরে এসব তথ্য নিজেদের সার্চ ফলাফলে প্রদর্শন করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বার্তা পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের জানানো হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই তথ্যগুলো অপসারণের অনুরোধ করতে পারবেন। এত দিন টুলটি কেবল গুগল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

গুগলের নতুন এই টুলে ব্যক্তিগত, কপিরাইট লঙ্ঘন ও শিশু নির্যাতনের তথ্য মুছে ফেলার আবেদন করা যাবে। গুগল সার্চের ফলাফলের পাশে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করলে ‘রিমুভ দিস রেজাল্টস’ অপশনটি দেখা যাবে। এই অপশন ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য অপসারণের অনুরোধ জানানো যাবে। ব্যবহারকারীদের দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোনো গুগল সেবার জন্য ব্যবহার করা হবে না।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, স্পেন, ফ্রান্স, সুইডেন, থাইল্যান্ড, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী গুগল ব্যবহারকারীরা টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ