বৃষ্টিতে ভেসে গেছে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচ। দুই ইনিংসে ৭২.৫ ওভার খেলা হওয়ার পর ঝুম বৃষ্টি নামে করাচিতে। এরপর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে। তাতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। গ্রুপ বি থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখে দলটি।

সমান তিন ম্যাচে আফগানদের পয়েন্ট তিন। এক ম্যাচ বাকি থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টও সমান। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা যদি হারে তাহলে দুই দলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে নেট রানরেটে।

তাতে ২.

১৪০ রানরেট নিয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের রানরেট-০.৯৯০। শেষ ম্যাচে ইংলিশদের কাছে যদি খুব বড় ব্যবধানে হারে তাহলে তখন আফগানদের মুখে হাসি ফুটতে পারে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে আফগানিস্তান ২৭৩ রান করে। তাড়া করতে নেমে ১২.৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। চালকের আসনে থাকলেও প্রকৃতি সেটা চায়নি।

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ