যে ফেরাটা হতে পারত আনন্দের, উল্লাসের…সেই ফেরাটাই হলো বিষাদময়। মুখে হাসি নেই। নেই স্বস্তির কোনো ছাপ। বরং প্রতিটি চেহারায় ফুটে উঠেছে হাহাকার, না পাওয়ার বেদনা, প্রাপ্তির আক্ষেপ।

বড় স্বপ্ন নিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে উড়াল দিলেও শন্য হাতেই ফিরেছে বাংলাদেশ। গতকাল রাতে পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ গাড়িতে চড়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।

সচরাচর বিদেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বা আইসিসি ইভেন্ট খেলে বিমানবন্দরে দলের প্রতিনিধি হয়ে কেউ না কেউ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। গতকাল রাতে দলের কেউই কথা বললেন না। নিজেদের মতো করে প্রত্যেকে বেরিয়ে যান বিমানবন্দর থেকে। ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও বিদেশী কোনো কোচিং স্টাফ ফেরেননি।

আরো পড়ুন:

টিভিতে আজকের খেলা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সে একটা বিষয় সামনে এসেছে স্পষ্টভাবে, গড়পড়তা পারফরম্যান্সে বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে টিকে থাকা সম্ভব না কোনোভাবেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে পণ্ড হওয়া ম্যাচেরর কারণে বাংলাদেশের পয়েন্টে ১ যোগ হয়েছে।

ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই বোলাররা যা করার করেছেন। ব্যাটসম্যানরা ছিলেন স্রেফ অসহায়। প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ব্যাটিংয়ে যে করুণ দশা শুরু হয়েছিল, তা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও ধরা পড়েছে প্রবলভাবে। আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। ডট বলের স্রোতে ভেসে গেছে ইনিংসের চেহারা। অহেতুক শট খেলতে গিয়ে বিলিয়ে এসেছেন উইকেট।   

প্রথম ম্যাচে ১৫৯ ডট বল, দ্বিতীয়টিতে ১৮১। পাকিস্তানে থাকতে অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন, দেশে ফিরে এটা নিয়ে কাজ করতে চান তারা।

“অবশ্যই (স্ট্রাইক রোটেশন চিন্তার কারণ)… নেটে আমাদের ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। কীভাবে প্রান্ত বদলাতে পারি, ম্যাচে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, সেসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা কীভাবে অনুশীলন করছি এবং ম্যাচে সেটা কতটা কাজে লাগাচ্ছি, তা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, ছেলেরা বুঝতে পারবে, কী করা উচিত।”

আপাতত দেড় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই শান্তদের। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন তারা। এপ্রিলের মাঝামাঝি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন

মাস দুয়েক আগেও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে টানা ব্যর্থতার কারণে সেই অর্জন ফিকে হয়ে গেল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের ধাক্কায় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ নিচে নেমে গেল আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের দল।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠার পর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছিল, যা ছিল দলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অবস্থান। সেই সময় তাদের র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল ১১৮০।

আরো পড়ুন:

আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ

ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাফল্যের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা দিয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। সাম্প্রতিক সময়ে খেলা চারটি ম্যাচের ফলই ছিল নেতিবাচক, যা র‌্যাঙ্কিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

অক্টোবর (ব্যাংকক): থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৫-১ গোলে পরাজিত হয়।

নভেম্বর-ডিসেম্বর (ঢাকা): ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তিন জাতি সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে এবং আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।

টানা চারটি পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন ১০৪ নম্বর থেকে নেমে এসেছে ১১২ নম্বরে। তাদের বর্তমান র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টও ১১৮০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৮।

যে দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ হেরেছে, তাদের র‌্যাঙ্কিং প্রায় অপরিবর্তিত বা উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ড (৫৩) এবং আজারবাইজান (৭৪) তাদের পূর্বের অবস্থানেই আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া মালয়েশিয়া এক ধাপ উন্নতি করে এখন ৯১ নম্বরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ নারী দলের এই র‌্যাঙ্কিং পতন স্পষ্টতই সাম্প্রতিক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফল। কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের এখন এই পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধুরন্ধর ঝড়: ৭ দিনে আয় ৪১৩ কোটি টাকা
  • ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
  • আইফোন ১৭ বাজারে এলেও কেন বিশ্বে বিক্রির শীর্ষে আইফোন ১৬