রাজশাহীতে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের জন্য এর চালককে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলার মোহনপুর থানা-পুলিশ যৌথভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, মোহনপুর উপজেলার তিলাহারী পূর্বপাড়া গ্রামের লায়েক আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আরিফ (২৬), পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শয়ন ইসলাম (২৮), রাজশাহী নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া গ্রামের দিপক সাহার ছেলে দেবর্শিষ সাহা (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলীনগর বুধপাড়া গ্রামের সাম মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মোহনপুর উপজেলার বড়াইল গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভ্যানচালক আবদুল মালেকের (৪২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে মোহনপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৬১৮

ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, আসামির বাড়ি ভাঙচুর

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভ্যানচালক মালেক। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা কোমল পানীয়র সঙ্গে তাকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। তারপরও মালেকের ঘুম না এলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তার ভ্যানটি নিয়ে বিক্রি করে দেয়। মূলত ওই ভ্যানের জন্যই মালেককে খুন করা হয়। 

ওসি জানান, অভিযানে ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ