বলিউডের বর্ষীয়ান লেখক ও গীতিকার জাভেদ আখতার ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের আইনি দ্বন্দ্বের পাঁচ বছর ধরে চলমান। সর্বশেষে গেল মাসে সেই মানহানি মামলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করেন মুম্বাই আদালত। এবার সেই মামলার নিষ্পত্তি করে নিলেন বলিউডের দুই তারকা। শুধু তাই নয়, কোর্ট চত্বরে হাসিমুখে একফ্রেমে ধরাও দিয়েছেন জাভেদ-কঙ্গনা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টর দিকে নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৌঁছন দুই তারকা। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে ২০২০ সালে দায়ের করা মানহানি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলিউডের প্রবীণ গীতিকার।

সুখবরটি জানিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘আজ আমি এবং জাভেদজি আমাদের আইনি লড়াই মিটিয়ে নিলাম। মধ্যস্থতাযর বিষয়ে জাভেদজি ভীষণই দয়ালু এবং প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, আমার পরবর্তী সিনেমার জন্য গান লিখবেন বলেও কথা দিয়েছেন।’

২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন- সেই মীমাংসা আজও হয়নি। সেই সময় ‘নানা মুনির নানা মত’ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বক্তব্য। সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা ‘নেপোটিজম’র শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতারকে। তারপরই তিনি কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় ৪০ দিন শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গেলে মাসে বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তাঁর। এবার অভিনেত্রী নিজেই জানালেন, তাঁরা মধ্যস্থতা করে মানহানি মামলা নিষ্পত্তি করলেন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ভ দ আখত র র আইন

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ পদের চাকরি পেতে আর কত অপেক্ষা

২০২০ থেকে ২০২৫—৫ বছর পেরিয়ে গেলেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। করোনা মহামারি, ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ, এমনকি একটি গণ-অভ্যুত্থান পার হলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটছে হাজারো চাকরিপ্রত্যাশীর।

২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের ৩৬ ক্যাটাগরির ১ হাজার ৫৬২টি পদের জন্য প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি আসে। কয়েক ধাপে লিখিত, মৌখিক এবং কয়েকটি পদের ব্যবহারিক পরীক্ষাও ২০২৩ সালে শেষ হয়। কিন্তু এরপরও ২৫ ক্যাটাগরির পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে, দুটি ক্যাটাগরির পদের পরীক্ষা এখনো অনুষ্ঠিতই হয়নি।

জানা যায়, ২০২৩ সালে একযোগে ২৬টি পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও একই বছরের ১ নভেম্বর মাত্র ৩টি পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে আরও ৬টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তবে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও ২৩টি পদের ফলাফল কেন প্রকাশ করা হয়নি, তার সদুত্তর দিতে পারছে না অধিদপ্তর।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ হলেও আটকে আছে ফলাফল, আশাহত প্রার্থীরা

গবেষণা সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন প্রার্থী আক্ষেপ করে বলেন, ‘একই সঙ্গে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও কারও চাকরি হলো, কারও হলো না। দুই বছরের বেশি সময় পার হয়েছে, কিন্তু ফলাফল হয়নি। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। আমরা অনেকবার স্মারকলিপি দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু অধিদপ্তর কোনো গুরুত্বই দেয়নি।’

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে আবেদনকারী একজন বলেন, ‘আবেদন করতে তো টাকা লাগে। আমরা যাঁরা ছোট পদে আবেদন করি, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও ভালো থাকে না। এরপর পরীক্ষা না হলে আরও হতাশ হতে হয়। পাঁচ বছর হয়ে গেছে, এখন আর পরীক্ষা হবে সে আশা করি না।’

আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি১৭ ঘণ্টা আগেনিয়োগপ্রক্রিয়া বিলম্বের কারণ

নিয়োগপ্রক্রিয়া এত দীর্ঘ হওয়ার বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পদ সংরক্ষণের মেয়াদ থাকে তিন বছর। ফলে আমরা নতুন করে ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) করেছি। কোটাসংক্রান্ত জটিলতাও ছিল। আমাদের কাজ প্রায় সমাপ্ত, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’ এত দিন কেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে আমি এই পদে যোগ দিয়েছি। আগে ঠিক কী কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল, এ বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই।’

আরও পড়ুন৬৫৫০২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ এখন ১০ম গ্রেড১৭ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬) ও অফিস সহায়ক (গ্রেড-২০) পদের পরীক্ষা নিয়োগবিধি সংশোধনের পর অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে পরিচালক জানিয়েছেন।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগের প্রশাসনের রদবদলসহ অভ্যন্তরীণ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়েছে। আগের প্রশাসক অধিদপ্তরে অনেক পদ শূন্য রেখে গিয়েছে । এসবের স্পষ্ট কোনো কারণ আমরা জানি না।’

আরও পড়ুনকানাডায় ৫ হাজার চিকিৎসকের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, বাংলাদেশ থেকে আবেদন সম্ভব কি?১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই–এ চাকরি, পদ ১৩৭ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানছড়িতে তিন ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
  • পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ পদের চাকরি পেতে আর কত অপেক্ষা