উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলা, রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি মান্না ও ফুয়াদের
Published: 1st, March 2025 GMT
উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলার প্রতিবাদে রাজপথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। গণফোরাম সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজও এতে সমর্থন জানিয়েছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ ঘোষণা দেন। ‘উর্দুভাষী সংখ্যালঘু ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ শীর্ষক’ ওই বৈঠকে কঠোর কর্মসূচির কথা জানান উর্দুভাষী নেতারা। ঢালাও মামলা প্রত্যাহার না করলে আত্মাহুতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু।
তবে এ ধরনের কর্মসূচি না দিয়ে রাজপথে থাকার পরামর্শ দেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ অন্য অতিথিরা। তারা বলেন, আত্মাহুতি কোনো সমাধানের পথ নয়। ঢালাও মামলার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উর্দুভাষীরা যদি এই বিষয়ে আন্দোলনের ডাক দেন, তাহলে তাদের সঙ্গে নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, এবি পার্টি, বাসদসহ সব রাজনৈতিক দল রাজপথে নামবে।
মান্না বলেন, ফাক্কু ও তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ২০১২ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য তখন তিনি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনের পর ফাক্কু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি হবেন, এটা ভাবতেও অবাক লাগে। যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলার তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আত্মহত্যার মতো কর্মসূচি দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে মাথা নত করা যাবে না। এসব মামলা প্রত্যাহার করতে সরকার ও প্রশাসনকে বাধ্য করতে হবে। এজন্য তীব্র আন্দোলন করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, মোহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (এমআরডিএম) সভাপতি ওয়াসি আলম বশির প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জপথ
এছাড়াও পড়ুন:
জিমেইলে পাসকি ব্যবহার করবেন যেভাবে
পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার কারণে অনেকেই জিমেইলে প্রবেশ করতে পারেন না। এ কারণে নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হন অনেকে। তবে চাইলেই জিমেইলের ‘পাসকি’ সুবিধা কাজে লাগিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
পাসকি ব্যবহার করলে জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখার প্রয়োজন নেই। আর তাই ব্যবহারকারীরা আঙুলের ছাপ, মুখের ছবি বা স্মার্টফোনের স্ক্রিন লক ব্যবহার করে সহজে ও নিরাপদে জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন। পাসকি হলো একধরনের ডিজিটাল অথেনটিকেশন ব্যবস্থা, যা পাসওয়ার্ডের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষিত। পাসওয়ার্ডের মতো এটি লেখা বা শেয়ার করা যায় না, ফিশিং আক্রমণে চুরি করা সম্ভব নয় এবং তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিও থাকে না। ফলে ব্যবহারকারীর গুগল অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকে। জিমেইলে পাসকি সুবিধা চালুর পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।
জিমেইলে পাসকি সুবিধা চালুর জন্য গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন থাকা অবস্থায় অ্যাকাউন্টের পাসকি সাইন ইন পেজে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য বর্তমান পাসওয়ার্ড লিখে ‘ক্রিয়েট আ পাসকি’ অপশনে আঙুলের ছাপ বা মুখের ছবি যুক্ত করতে হবে। এবার প্রদর্শিত উইন্ডোতে ‘কনটিনিউ’ ক্লিক করার পর ব্রাউজার পাসকি ব্যবহারের অনুমতি চাইলে ‘অ্যালাউ’ নির্বাচন করতে হবে। পাসকি চালু হলে গুগলের যেকোনো সাইন ইন পেজে ই–মেইল ঠিকানা লেখার পর পাসওয়ার্ড টাইপ করার পরিবর্তে আঙুলের ছাপ বা মুখের ছবি দিলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
আরও পড়ুনজিমেইলের এই পাঁচ সুবিধার কথা জানেন তো০২ জুলাই ২০২৪প্রসঙ্গত, পাসকিতে ‘পাবলিক কি ক্রিপ্টোগ্রাফি’ নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে হ্যাকারদের পক্ষে ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য চুরি করা সম্ভব হয় না।