লাহোর হামলা, ইনজামামের জন্ম এবং শেষ না হওয়া সেই টেস্ট
Published: 3rd, March 2025 GMT
ইনজামাম-উল-হকের জন্মদিনেই তাহলে ওই ঘটনা!
‘ঘটনা’ না বলে দুর্ঘটনা বলাই ভালো। তাতেও বোধ হয় ব্যাপারটার গুরুত্ব পুরোপুরি বোঝানো যায় না। পাকিস্তান ক্রিকেটের, বলা ভালো বিশ্ব ক্রিকেটেরই ‘কালো দিন’টিকে কি আর শুধু দুর্ঘটনা বলে বোঝানো যায়!
লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামমুখী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে হামলা চালাল সন্ত্রাসীরা। ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী মারা গেলেন, দুজন পথচারীও। আহত হলেন শ্রীলঙ্কার পাঁচজন ক্রিকেটার। সেই টেস্ট তো বাতিল হলোই, বাতিল হয়ে গেল সিরিজই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তানের নামের পাশেও লাল দাগ পড়ে গেল। ওই ঘটনার আগেও পাকিস্তান নিরাপদ ছিল না। তবে খেলা আর খেলোয়াড়েরা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হয় না বলে একটা বিশ্বাস ছিল। সেটিই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওই ঘটনায়। ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে ১১ জন ইসরায়েলি অ্যাথলেট নিহত হওয়ার পর ক্রীড়াবিদদের সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এর পর থেকেই পাকিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটের ‘নো-গো জোন’!
লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলে সন্ত্রসীদের গুলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’