কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চড়াপাড়া এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে তিনটি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটা দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির পর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়েছে ডাকাত দল।

যে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তাঁর নাম মো. জাহেদুল কবির। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত।

ওসি জাহেদুল কবিরের বাড়িতে তাঁর বাবা আহমদ কবির এবং ছোট ভাই মনিরুল কবির থাকেন। তাঁদের বসতঘরের পাশে একটি সেমিপাকা ঘর বানিয়ে গরু পালন করা হচ্ছিল। মনিরুল কবির এসব গরুর দেখাশোনা করে আসছেন।

জানতে চাইলে মনিরুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে জানান তাঁদের ঘরের ১০০ ফুট দূরত্বে থাকা সড়কে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। খবরটি শুনে সন্দেহ হওয়ায় ঘর থেকে বের হতেই তাঁর দিকে টর্চের আলো ফেলেন ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁর দুটি ষাঁড় ও একটি বাছুর পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। তবে একটি গাভি গাড়িতে তুলতে না পেরে নিচে ফেলে রেখে যান ডাকাত দলের সদস্যরা।

ডাকাত দলে ১২ থেকে ১৩ জন ছিলেন জানিয়ে মনিরুল কবির অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাঁর পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের নেতৃত্বে এক জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই জনপ্রতিনিধি গরু চোর চক্রের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁর চক্রের সদস্যরা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করছেন মনিরুল।

জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা মো.

জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতির ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। বিষয়টি জেনেই তিনি স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন। ডাকাত দল তিনটি গরু ডাকাতি করেছে।

পেকুয়া থানার ওসি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল শ কর মকর ত ড ক ত র ঘটন ড ক ত দল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ