গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নুরিনা বেগম (৪৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে শহরের রেল স্টেশনের উত্তরে সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোমবার (৩ মার্চ) সকালে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘসময় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও আজ দুপুরে তার পরিচয় শনাক্ত করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত নুরিনা বেগম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক নারী মারা যান। খবর পেয়ে সোমবার সকালে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু

সেনাসদস্যকে মারধর করায় রেলওয়ের ৩ কর্মচারী আটক

ডিআরপি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো.

আব্দুল গনি জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারীর পরিচয় পাওয়া 

বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, “নিহত ওই নারীর পরিচয় পাওয়ার পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি কি কারণে বা কিভাবে মারা গেছেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার হবে।” 

গাইবান্ধা/মাসুম/সাইফ 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ