চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছনখোলা নামক এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সাতকানিয়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

নিহতদের নাম নিজাম ও ছালেক বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ

শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সাতকানিয়ার ছনখোলা পশ্চিমপাড়ায় কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে একদল যুবক এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় স্থানীয় মানুষজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দ পেয়ে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষনা দিয়ে, গ্রামবাসীকে ডাকাত প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। পরে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। 

সাতকানিয়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‍“খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। যে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি থানা থেকে লুট করা অস্ত্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আহত গণপ ট ন স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ