যানজট নিরসনে সড়কে ইউএনও, লাঠিপেটার অভিযোগে পরিবহনশ্রমিকদের অবরোধ
Published: 4th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে বাসচালককে লাঠিপেটার অভিযোগ এনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা তাঁরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য থানার সামনের এলাকার রাস্তার ওপর থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও রাস্তার ওপর বাস দাঁড়িয়ে থাকে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট রোধে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএনও আতিকুল ইসলাম পৌরসভার পুরোনো বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় যান। ওই সময় সড়কের ওপর ইসলাম পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। ইউএনও বাসটিকে সরিয়ে নিতে বলেন। ওই ঘটনা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন পরিবহনশ্রমিকেরা চালককে মারধর করার অভিযোগ এনে ইউএনওর বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বাসটির চালক মো.
লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাসগুলো পৌর বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়া হবে। তারপরও রাস্তার ওপর বাস দাঁড়াচ্ছিল। আজ সকালে রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় কারণ জানতে চেয়েছিলাম। এ কারণে চালকেরা ইস্যু সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’
মুক্তাগাছা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক বাবুল মিয়া বলেন, ‘ভুল–বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বিকেলে আমরা আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটমাট করে নেব। ইউএনও রাস্তার যানজট কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ হয়তো ইউএনও রাগের মাথায় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন।’
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বাসের চালককে ইউএনও মারধর করেছেন—এমন অভিযোগে শ্রমিকেরা সড়ক আটকে দিয়েছিলেন। পরে সেনাবাহিনী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স ত র ওপর চ লকক য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
শেরপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় দুই সার ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক বিএডিসি সার ডিলারকে ১ লাখ টাকা ও লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রি করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরো পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঝিনাইদহে ২৫০টি অবৈধ জাল জব্দ, বাঁধ উচ্ছেদ
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জরিমানার তথ্য জানান।
ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, ‘‘সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই অসাধু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকের উপর জুলুম মেনে নেওয়া হবে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন সোর্স এ সব অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর রাখছেন। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পেয়ে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করায় একই বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শিশির এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘‘আমন মৌসুসে সারের দাম ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই।’’
ঢাকা/তারিকুল/বকুল