চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) অভিযানে প্রায় আড়াই কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে পূর্বদশা পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হাসান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, দামুড়হদা উপজেলার পিরপুরকুল্লাহ গ্রামের মৃত খোদা বকসের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২) ও  কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে লিটন খান (২৬)।  লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনের বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৪৫৬) সোনা চোরাচালান হবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সরজগঞ্জ বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বাসটি পৌঁছালে সেটির গতিরোধ করা হয়। তখন বাসে তল্লাশি চালিয়ে রফিকুল ইসলাম ও লিটন খানের দেহ তল্লাশি করে ১৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ওই সোনার ওজন ২ কেজি ৪১১ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে বিজিরি নায়েক সাইদুর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেছেন।
 

ঢাকা/মামুন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

করিডর নিয়ে যা বলছে, তার প্রতিটি কথার জবাব দিতে হবে: আমীর খসরু

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে যে করিডরের কথা বলা হচ্ছে, তা বুঝে বলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যদি বুঝে বলে থাকে, তাহলে প্রত্যেকটা কথার জবাব দিতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হতো। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল এ সমাবেশের  আয়োজন করে।

আমীর খসরু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেখছেন একটা সুবিধাবাদী শক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এদের কোনো অবদান নেই। তাদের বেশির ভাগকে রাস্তায় দেখিনি। এখন এরা মজা মারছে। ক্ষমতার মজা মারছে। এটা কি ছাড়া যায়। এখন তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। নির্বাচনে গেলে তো জনগণের নির্বাচিত সরকার হবে। তাদের ওই মজা তখন আর থাকবে না।’

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একেক দিন একেক দিন একেক কথা বলে। এটা না হলে নির্বাচন হবে না, ওটা না হলে নির্বাচন হবে না। প্রতিনিয়ত তারা একেকটা বয়ান শুরু করেছে। কারণ, তারা তো আনন্দে আছে। এখন এই বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা লাভবান আছে। কাদের কথা বলছি বোঝানোর দরকার আছে? বুঝছেন তো কাদের কথা। সুতরাং এটা বেশি দিন চলতে গেলে জনগণের কাছে জবাবদিহি হতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে ছিল না, এখন তারাই বলছে, নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা একধরনের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশি দিন দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না।’’

বর্তমান সরকারের সময় যেভাবে শ্রমিকস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রোডম্যাপে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ