রাষ্ট্র পুনর্গঠন কাঠামোতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আধিপত্যের’ প্রতিবাদে এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে আজ বুধবার রাজশাহীতে দেড় ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজারসংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা একটার দিকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব। এ ছাড়া একই দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো.

ফাহিম রেজা বলেন, ‘৫ আগস্টের বিজয়ের পর আমাদের প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল আমরা সবাই একসঙ্গে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব। কিন্তু এত দিন পরে এসেও আমরা দেখছি ঢাবি বা ঢাকাকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্র বন্দী হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শ্রেণির মানুষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করে এককভাবে ক্ষমতার কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে করা হয়েছে। আজ রেললাইন অবরোধ করে আমরা দাবি জানাচ্ছি, আন্দোলনের প্রত্যেকটা অংশীদার ও পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে হবে।’

আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রত্যেকটা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দুর্গ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিপ্লব–পরবর্তী সময়ে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামণ্ডলী—সবকিছুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে?’

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. মঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধূমকেতু ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন হরিয়ান স্টেশনে আটকে যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। 

রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও  +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ