রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৪ হাজার ৬১৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি। আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্তে হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, ‘আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে গঠিত মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক অদ্যাবদি ছয়টি সভায় মোট ৪ হাজার ৬১৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।’

গণঅভ্যূত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সরকার। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের অবহিত করে বলেন, বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত ‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হচ্ছেন আইন ও বিচার উপদেষ্টা। কমিটিতে বাকি সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)। এর ধারাবাহিকতায় এসব মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশের সিদ্ধান্তের কথা জানালো আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র পর য য় র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ