শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
Published: 6th, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্বশুরবাড়িতে হাফছা আক্তার (২৩) নামের এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। তাঁর বাবা পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন। বিপরীতে শ্বশুরবাড়ির লোকের দাবি, পোকা দমনের বিষ খেয়ে হাফছা আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। গতকাল বুধবার হাফছার লাশ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ওই তরুণীর স্বামী পারভেজ সবুজ প্রবাসী।
স্বজন জানান, তিন বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের মো.
তাঁর বাবা মোখলেছ মিয়ার ভাষ্য, মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর রাতে বাছির মেম্বার তাঁর নম্বরে কল করে জানায়, হাফছা নাকি কেড়ির বড়ি (কীটনাশক) খেয়েছে। দ্রুত তিনি হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান। মোখলেছ মিয়া বলেন, ‘আমার মাইয়া আত্মহত্যা করে নাই। তারে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইউপি সদস্য বাছির মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে সবুজ তাঁকে কল করে জানান, তাঁর (সবুজ) সঙ্গে ফোনে ঝগড়া করে নাকি স্ত্রী হাফছা বিষ খেয়েছে। দ্রুত তাদের বাড়িতে গিয়ে হাফছার সঙ্গে কথা বলেন। সে জানায়, তিনটি কেড়ির বড়ি খেয়েছে। চিকিৎসার জন্য দ্রুত সিএনজিতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠান। পথেই হাফছার মৃত্যু হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক