মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা রাষ্ট্রদূত ফিল গফকে বরখাস্ত করেছে নিউজিল্যান্ড। তিনি যুক্তরাজ্যে নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশনার ছিলেন।

গত মঙ্গলবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টার সঙ্গে ১৯৩৮ সালের মিউনিখ চুক্তির তুলনা করেছিলেন। ৮৭ বছর আগের ওই চুক্তি জার্মান স্বৈরাচার এডলফ হিটলারকে তখনকার চেকস্লোভাকিয়ার কিছু অংশ দখলে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। খবর বিবিসির।

সেই সময় যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ওই চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন। ফিল গফ এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওভাল অফিসে চার্চিলের আবক্ষ মূর্তি ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু আপনারা কি মনে করেন, তিনি সত্যিই ইতিহাস বোঝেন?’ এর জেরে বরখাস্ত করা হয় গফকে। নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারস বলেন, গফের এ মন্তব্য ‘অত্যন্ত অস্বস্তিকর’ এবং তাঁর অবস্থানকে ‘নড়বড়ে করে ফেলেছে’।

সম্প্রতি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা ও পরে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়াও বন্ধ করে দেয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ