রমজানে কম মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন দিনাজপুরের হিলির বাসিন্দারা। সীমান্তবর্তী এই এলাকার বাজারে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারে বেশি আমদানি হওয়ায় এই পণ্যটির ঝাঁজ কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় হিলির সবজি বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর রমজানে লাগামহীনভাবে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। রমজানে ইফতারের জন্য অধিকাংশ উপকরণ তৈরিতে পেঁয়াজ অতিপ্রয়োজনীয়। এবারের রমজানে প্রথম দিন থেকে ৩৫ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছিলেন তারা। বর্তমান দাম কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের ফলন হওয়ায় বাজারে দাম কমেছে। এ জন্যই পাইকারি এবং খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
হিলির বাজারে সবজি কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, “ইফতারের অধিকাংশ উপকরণ তৈরিতে প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। প্রতিবছর রমজানে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। তবে, এবার দাম কমে গেছে। এতে আমাদের ইফতার ব্যবসা ভালো হচ্ছে। ভাল মানের ইফতারও তৈরি করতে পারছি। লাভের মুখও দেখতে পাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
বিএসইসির অস্থিরতা দ্রুত সমাধান চায় বিএমবিএ
অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করব না: বিএসইসির চেয়ারম্যান
হিলি বন্দরে কাজ করা আরিফ নামে এক শ্রমিক বলেন, “প্রতিবছর রমজান মাসে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে এই বন্দরে। এবার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা। বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে আসছে। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের অনেক উপকার হচ্ছে পেঁয়াজের দাম কমায়।”
হিলি বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, “এবার দেশি পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালে। ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি পেঁয়াজ। আমরা পাবনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও নাটোর থেকে পেঁয়াজ পাইকারি কিনে আনছি। দাম কম হওয়ায় বেচাবিক্রি অনেক বেশি হচ্ছে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় র রমজ ন দ ম কম আমদ ন ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া