নড়াইল সদরের গোবরা বাজারে স্থানীয় বিএনপি অফিসের পাশে বোমা বিস্ফোরণে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু মোল্যাসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ওয়াজেদ আলী তিতুমীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদরের গোবরা নতুন স্ট্যান্ডে বিএনপি অফিসের ভেতরে গোবরা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু মোল্যা, জাফর আলীর ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ওয়াজেদ আলী তিতুমীর ও একই এলাকার স্বঘোষিত বিএনপি নেতা নিউটন গাজীসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী বসে গল্প করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদেরকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে তিনটি বোমা হামলা করে দুটি মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর নিউটন গাজী নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে দাবি করতে থাকেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি উজ্জ্বল শেখ গ্রুপের সাথে একই এলাকার নিউটন গাজীর গ্রুপের গত দু’বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য বিরোধ চলে আসছিল। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সাথে পূর্বের বিরোধের সম্পর্ক থাকতে পারে।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ বলেন, শুনেছি গোবরা বাজারে বোমার আঘাতে তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাবু মোল্যা ও ওয়াজেদ আলী তিতুমীর বিএনপির নেতাকর্মী। অন্যজন নিউটন গাজী বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তিনি এ ঘটনার কারণ বলতে পারেননি।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো.

সাজেদুল ইসলাম বলেন, গোবরা বাজারের একটি টিনশেড ঘরের সামনে বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় তিনজনের আহত হয়েছে। তাদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ