ঈদে হ্যান্ডপেইন্ট পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন মিতু
Published: 8th, March 2025 GMT
মারুফা মিতু, পেশায় শিক্ষক আর নেশায় একজন আর্টিস্ট। প্রকৃতির রং, রূপ, সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলেন পোশাকের জমিনে। মিতুর অনলাইন উদ্যোগ ‘রানী কুটির’-এর হ্যান্ডপেইন্ট বা হাতে আঁকা নকশার পোশাক সারা দেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে গেছে। বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে হাতে আঁকা নকশার জন্য। দেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা রানী কুটিরের নিয়মিত গ্রাহক বলে জানান মারুফা মিতু। এ ছাড়া দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের প্রবাসী বাঙালিরা অনলাইনে অর্ডার করে সংগ্রহ করে থাকেন রানী কুটিরের পোশাক।
মারুফা মিতুর রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন তার ঈদের কালেকশন সম্পর্কে। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ কালেকশনে হাতে আঁকা শাড়ী,পাঞ্জাবি, বেবী ড্রেস ও কুর্তি পিস থাকছে। ক্লায়েন্টদের পছন্দকেই প্রাধান্য দিয়ে আমি কাজ করছি। ক্লায়েন্ট দের ফরমায়েশিতে পিওর মসলিন, রাজশাহী সফট সিল্ক ও সেমি মসলিন শাড়ীতে পেইন্টিং করা হয়েছে। পাঞ্জাবির কাপড় হিসেবে খাদি ও বেক্সিভয়েল কাপড়টাকে বেছে নিয়েছি। কারণ এই কাপড়গুলো পরতে আরামদায়ক। হাতে আঁকা বেবীড্রেসগুলো খাদি কাপড় ও বেক্সিভয়েল কাপড়ে করা হয়। কুর্তিপিস গুলো খাদি, বেক্সিভয়েল ও মসলিনে করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
শত বছর আগে আঁকা ছবির মতো মেয়েটি
বেসনের সঙ্গে যে যে উপাদান মিশিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন
উৎসব আর আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে মারুফা মিতু বেছে নিয়েছেন কাপড়ের ধরণ আর রং। তবে এই ঈদের পোশাকগুলোতে তিনি মোটিফগুলো নতুনভাবে এঁকেছেন। কাজে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছেন। ‘রানী কুটির’ অনলাইন পেইজের মাধ্যমে ক্লায়েন্টরা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্ডার করে পছন্দসই পোশাক সংগ্রহ করতে পারেন। অর্ডার কনফার্ম হওয়ার পর, ক্লায়েন্ট দের ঠিকানা অনুযায়ী হাতে আঁকা পোশাকগুলো পার্সেল করে পাঠিয়ে দেন মারুফা মিতু।
মিতু বলেন, ‘‘পেইন্টিং পোশাক গুলো বিভিন্ন প্রাইসের হয়ে থাকে। দামটা নির্ধারণ করা হয় ফেব্রিকস ও পেইন্টিং এর ওপর। যেমন- যে পেইন্টিং এ সময় বেশি লাগে, সেই পেইন্টিং এর প্রাইস একটু বেশি হয়। মোট কথা হলো কাজের ওপর প্রাইস ডিপেন্ড করে।’’
সম্ভাব্য দরদাম: হ্যান্ডপেইন্টিং শাড়ির দাম ৪,০০০ থেকে ১২,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাঞ্জাবির দাম পরে ১৬৫০ থেকে ১৯০০ টাকা। আর বেবী ড্রেসগুলোর দাম নির্ধারণ হয় ফেব্রিক ও নকশা অনুযায়ী।
রাইজিংবিডি জানতে চেয়েছিল ঈদের দিন কেমন পোশাক পরবেন এই ডিজাইনার। তিনি বললেন, ‘‘ঈদের দিন আমি আমার নিজের ডিজাইন করা হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি পরবো।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার একদিন পর আজ সোমবার আবারও সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের বাদামতলায় জমায়েত হন। সেখানে তারা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিজে জড়ো হয়ে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের স্লোগান ছিল ' অবৈধ কালো আইন মানি না' ইত্যাদি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
ঈদের ছুটি শুরু আগে কর্মচারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ,আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, খাদ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।