সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০ নারী ক্রীড়াবিদ কারা
Published: 8th, March 2025 GMT
মেয়েদের খেলায় দর্শক বাড়ছে, টিভি স্বত্বের দাম বাড়ছে, সেই সঙ্গে আগ্রহ বাড়ছে বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোরও। এই সবকিছুর যোগফলে আয় বাড়ছে নারী ক্রীড়াবিদদেরও। ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা ১৫ নারী খেলোয়াড়ের মোট আয় ২২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে অন্তত এক কোটি আয় করা নারী খেলোয়াড় ছিলেন ৬ জন, যা পরের বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১-তে।
বেশি আয় করা নারী ক্রীড়াবিদদের বেশির ভাগই টেনিসের। ক্রীড়া-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম স্পোর্টিকোর তথ্য বলছে, গত বছর সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ৭ নারী ক্রীড়াবিদের ৫ জনই টেনিসের। বেশি আয় করা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়ই বেশি।
২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা নারী ক্রীড়াবিদদের তালিকা তৈরি করেছে স্পোর্টিকো। হিসাবে নেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের বেতন, প্রাইজমানি, সব ধরনের বোনাস (সাইনিং, প্লে–অফ, অলিম্পিক ও অন্যান্য), এনডোর্সমেন্ট (বিজ্ঞাপন, বাণিজ্য দূত ও অন্যান্য)।
আরও পড়ুনদুই দশক পর এশিয়ান কাবাডিতে পদক১৭ ঘণ্টা আগেকোকো গফযুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা ২০২৪ সালে আয় করেছেন ৩ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বেতন ও প্রাইজমানি থেকে ৯৪ লাখ, বাকি ২ কোটি এনডোর্সমেন্ট থেকে। ২০ বছর বয়সী গফের এই এনডোর্সমেন্টের বেশির ভাগ এসেছে বোস্টনভিত্তিক ব্র্যান্ড রেডিডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে। ১৪ বছর বয়সে নিউ ব্যালান্সের সঙ্গেও চুক্তি করেছিলেন গফ। এবার নিউ ব্যালান্স তাঁর নামে সিগনেচার সু বাজারে ছেড়েছে। ইউপিএস, হেড, বারিল্লা, বেকার টিলি, বোস ও রোলেক্সের সঙ্গেও স্পনসর চুক্তি আছে গফের।
ফ্রিস্টাইল স্কিয়ার এইলিন গু.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ