পুরিন্দায় পুস্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ
Published: 8th, March 2025 GMT
আড়াইহাজারের পুরিন্দায় পুস্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১০০ সদস্যের মধ্যে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবারে দুপুরে উপজেলার পুরিন্দা এলাকার ইসলাম প্লাজায় সোস্যাল ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খাদেমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাসান ইমন ভূইয়া।
উপস্থিত ছিলেন- সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মো.
পরে পুস্প সোস্যাল বিজনেসের উদ্যোগে সদস্য ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে ছনপাড়া (ইপিজেট গেইট সংলগ্ন) কিং ফিসার রেস্টুরেন্টে ইফতার ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নারী ও গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পুস্প সোস্যাল বিজনেসের নির্বাহী পরিচালক খাদেমুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক আল আমিন ভূইয়া, হাসান ইমন, কায়ছার হামিদ আলমগীর, শরীফ হোসেন স্বপন, ফরহাদ, নুরুল আমিন, সাদ্দাম হোসেন, রিপন মোল্লা ও সালমা আক্তার প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ঈদ ইফত র ইফত র ও
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?