Samakal:
2025-12-13@19:07:10 GMT

খাসজমিতে নেতার দোকান

Published: 9th, March 2025 GMT

খাসজমিতে নেতার দোকান

বরিশালের বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি বাজারে খাসজমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। পাঁচটি দোকানঘরের কাজ প্রায় শেষ। পাশাপাশি পেছনে বসতঘর নির্মাণকাজ চলছে সমানতালে। 
জানা গেছে, উপজেলার নিয়ামতি বাজারের একটি অংশ তোহা (কাঁচাবাজার) জমি নামে পরিচিত। খাসজমির মধ্যে তোহা অংশ বন্দোবস্ত বা হাতবদল করার বিধান নেই। বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসের কানুনগো আফজাল হোসেন, সার্ভেয়ার ফোরকান ও রিয়াজের যোগসাজশে ওই জমি দখল করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। 
স্থানীয়রা জানান, মোস্তাফিজের ছেলে সাব্বির আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও আওয়ামী লীগের পতনের পর যুবদলে যোগ দেন। পিতা-পুত্রের ক্ষমতার জোরে সরকারি তোহা জমিতে তারা স্থাপনা করেছেন। 
স্থানীয় বাসিন্দা রুস্তম আলী হাওলাদার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগে জানান, মোস্তাফিজুর দুই বছর আগে খাস জমিতে ঘর তোলা শুরু করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে ২০২২ সালের ৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি আবুজার মো.

ইজাজুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ২৫ মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকারি জমি ছেড়ে নির্মাণকাজ করতে নির্দেশ দেন। এর পর থেকে কাজ বন্ধ রাখেন মোস্তাফিজ। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে তিনি ভূমি অফিসের একটি চক্রের সহযোগিতায় নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করেন। 
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি জমিতে নির্মাণকাজ করতে মোস্তাফিজকে নোটিশ দিয়েছিলেন। ভবন নির্মাণ হয়ে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। সরকারি তোহা বাজারের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হলে তা উচ্ছেদ করা হবে। এতে ভূমি অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, তিনি ডিসিআর (বন্দোবস্ত) করা জমিতে ঘর তুলছেন। এ জমি তোহা বাজারের কিনা তার জানা নেই। 
বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসের কানুনগো আফজাল হোসেন বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন নিয়ামতি বন্দরে সরকারি জমিতে ঘর তুলেছেন শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ঘর ভেঙে ফেলা হবে। 
নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাম মৃধা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবার বিএনপির সমর্থক। তারা দলের কোনো পদপদবিতে নেই। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা নেই। তবে বিষয়টি জেনে মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। ভূমি অফিসের অনুমতি নিয়ে ঘর তুলেছেন এমনটা জানিয়েছেন তিনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ সজম ম স ত ফ জ র রহম ন কর মকর ত ন র পর ন য় মত অফ স র ঘর ত ল ব এনপ সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ