Samakal:
2025-06-15@13:51:52 GMT

খাসজমিতে নেতার দোকান

Published: 9th, March 2025 GMT

খাসজমিতে নেতার দোকান

বরিশালের বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি বাজারে খাসজমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। পাঁচটি দোকানঘরের কাজ প্রায় শেষ। পাশাপাশি পেছনে বসতঘর নির্মাণকাজ চলছে সমানতালে। 
জানা গেছে, উপজেলার নিয়ামতি বাজারের একটি অংশ তোহা (কাঁচাবাজার) জমি নামে পরিচিত। খাসজমির মধ্যে তোহা অংশ বন্দোবস্ত বা হাতবদল করার বিধান নেই। বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসের কানুনগো আফজাল হোসেন, সার্ভেয়ার ফোরকান ও রিয়াজের যোগসাজশে ওই জমি দখল করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। 
স্থানীয়রা জানান, মোস্তাফিজের ছেলে সাব্বির আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও আওয়ামী লীগের পতনের পর যুবদলে যোগ দেন। পিতা-পুত্রের ক্ষমতার জোরে সরকারি তোহা জমিতে তারা স্থাপনা করেছেন। 
স্থানীয় বাসিন্দা রুস্তম আলী হাওলাদার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগে জানান, মোস্তাফিজুর দুই বছর আগে খাস জমিতে ঘর তোলা শুরু করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে ২০২২ সালের ৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি আবুজার মো.

ইজাজুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ২৫ মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকারি জমি ছেড়ে নির্মাণকাজ করতে নির্দেশ দেন। এর পর থেকে কাজ বন্ধ রাখেন মোস্তাফিজ। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে তিনি ভূমি অফিসের একটি চক্রের সহযোগিতায় নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করেন। 
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি জমিতে নির্মাণকাজ করতে মোস্তাফিজকে নোটিশ দিয়েছিলেন। ভবন নির্মাণ হয়ে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। সরকারি তোহা বাজারের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হলে তা উচ্ছেদ করা হবে। এতে ভূমি অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি, তিনি ডিসিআর (বন্দোবস্ত) করা জমিতে ঘর তুলছেন। এ জমি তোহা বাজারের কিনা তার জানা নেই। 
বাকেরগঞ্জ ভূমি অফিসের কানুনগো আফজাল হোসেন বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন নিয়ামতি বন্দরে সরকারি জমিতে ঘর তুলেছেন শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ঘর ভেঙে ফেলা হবে। 
নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাম মৃধা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবার বিএনপির সমর্থক। তারা দলের কোনো পদপদবিতে নেই। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা নেই। তবে বিষয়টি জেনে মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। ভূমি অফিসের অনুমতি নিয়ে ঘর তুলেছেন এমনটা জানিয়েছেন তিনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ সজম ম স ত ফ জ র রহম ন কর মকর ত ন র পর ন য় মত অফ স র ঘর ত ল ব এনপ সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবক গ্রেপ্তার, চুরির ২০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশ প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণসহ মেহেদী হাসান (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রবিবার (১৫ জুন) সকালে পৌর এলাকার সড়ক বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলো একদিন আগে পৌর এলাকার দুর্গাপুরের একটি বাড়ি থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, মেহেদী হাসান নামে ওই যুবক স্বর্ণ বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরির খবরে তাকে আটক করা হয়। এরপর তার কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়, যা চুরি হওয়ার ভুক্তভোগী পরিবার তাদের বলে চিহ্নিত করেছেন। ওই বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয় বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, তদন্ত করে ওই যুবকই চুরি করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিকেল নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজে চুরির কথা স্বীকার করছেন না। পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হবে। মেহেদী হাসানের বাড়ি কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে।

আরো পড়ুন:

কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আদালত চত্বর থেকে হ্যান্ডকাফসহ পালানো দুই আসামি গ্রেপ্তার

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুরের টিপু মিয়ার বাড়ির দোতলা থেকে গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাত থেকে শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে কোনো এক সময় চুরি হয়। চোর বা চোরের দল বাড়ির দোতলার বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আলমারি থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় টিপু মিয়ার স্ত্রী শান্ত আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ করে। রবিবার সকালে পুলিশ খবর পায় যে এক যুবক স্বর্ণ বিক্রির জন্য কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঘুরছেন। চুরির ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দূরে সড়ক বাজার এলাকায় তিনি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে তল্লাশি চালালে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাকি স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/পলাশ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ