রেলওয়ের নতুন সূচি অনুযায়ী আজ সোমবার (১০ মার্চ) থেকে সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি শুরু করেছে।

সকাল সাড়ে ১১টায় ট্রেনটি ঢাকা যাওয়ার পথে, সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সিলেট যাওয়ার সময় ট্রেনের চালক, পরিচালক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নামা যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দিলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কোনো টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়নি।

ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি করতো না। নতুন সূচি অনুযায়ী এখন থেকে যাত্রাবিরতি করবে।

আরো পড়ুন:

ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন 
এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

সিলেট যাওয়ার পথে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে জেলা নাগরিক ফোরামের নেতারা ফুল নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন। ট্রেনটি এলে তারা দুই দলে ভাগ হয়ে চালক ও পরিচালককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় ট্রেন থেকে নামা সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অন্যান্য যাত্রীদেরও বরণ করে নেওয়া হয়। 

উপস্থিত লোকজন করতালির মাধ্যমে ট্রেনটিকে স্বাগত জানান ও বিদায় দেন। যাত্রীরা এই যাত্রাবিরতিতে তাদের উচ্ছাসের কথা প্রকাশ করেন। এ সময় নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, কমরেড নজরুল ইসলাম, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবৃত্তি শিল্পী ও সাংবাদিক মো.

হাবিবুর রহমান পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রুবেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হ মণব ড় য় য়

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’

এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্‌স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ