গুলশানে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানীর গুলশান এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সজল হোসেন পলাশ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
গুলশান থানা-পুলিশ আজ দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যায়।
শিশুটির মা বলেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত সজল পেশায় গাড়িচালক। পাশের বাসায় থাকেন। মাঝেমধ্যে তাঁদের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। গতকাল তিনি কাজে গেলে ভবনের চারতলার চিলেকোঠায় নিয়ে তাঁর শিশুমেয়েকে ধর্ষণ করেন সজীব। পরে তিনি সন্ধ্যায় বাসায় এসে বিষয়টি জানতে পেরে গুলশান থানায় গিয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুনধর্ষণের শিকার কিশোরীকে সালিসে ডেকে অপবাদ, আত্মহত্যা৩ ঘণ্টা আগেগুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাঈম উদ্দিন সুজন বলেন, এ ঘটনায় সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুননিরাপত্তা শঙ্কায় আদালতে নেওয়া যায়নি আসামিদের, রিমান্ড শুনানিও হয়নি০৯ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনলালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রিংকুকে হেফাজতে নিল পুলিশ৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব