দেশের বাজারে ৫ হাজার ৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিসহ ৪৫ ওয়াটের সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির নতুন স্মার্টফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে অপো। ‘অপো এ৫ প্রো’ মডেলের ফোনটিতে সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তি থাকায় ৭৬ মিনিটের মধ্যে শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ করা যায়। ফলে ফোনের চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। গত রোববার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফোনটি প্রদর্শন করা হয়। ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৯৯০ টাকা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অপো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাবল–টেম্পার্ড গ্লাস ও ওয়াটারপ্রুফ প্রযুক্তি থাকায় ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলে বা পানিতে ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না। এ ছাড়া এআই ইরেজার, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার, এআই আনব্লার, এআই ক্লিয়ারিটি এনহেনসার ও এআই স্টুডিও–সুবিধা থাকায় সহজেই ছবিতে থাকা অবাঞ্ছিত অংশ মুছে ফেলার পাশাপাশি ভালো মানের ছবি সম্পাদনা করা সম্ভব।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখবেন যেভাবে১১ জুন ২০২৪

৬.

৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে স্ন্যাপড্রাগনের শক্তিশালী প্রসেসর থাকায় একসঙ্গে একাধিক কাজ দ্রুত করা যায়। ফোনটির পর্দার রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ। ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা রয়েছে। সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফলে সহজেই ভালো মানের ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করা যায়। ৮ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটি।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ৪ কারণ২৫ এপ্রিল ২০২৩

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ