বগুড়ায় পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৩৬৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে সিভিল সার্জন অফিস। আগামী ১৫ মার্চ সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। 

বুধবার (১২ মার্চ) দুপু‌রে বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিস হলরু‌মে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে বগুড়ার ক্যাম্পেইনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়।

বগুড়ায় ০৬-১১ মাস বয়সী ৬০ হাজার ৯৭০ জনকে এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। বগুড়া জেলাব্যাপী ২ হাজার ৮৬৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়া হবে। উল্লেখিত কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৫ হাজার ৭৩৪ জন।

সাধারণ মানুষ যেন তাদের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ক্যাম্পে নিয়ে আসেন সেজন্য এলাকা ভিত্তিক মাইকিং, গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার এবং মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। 

সাংবাদিকদের অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা এ, কে, এম মোফাখখারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকা/এনাম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ভ ল স র জন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর

বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।

গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু ব্যাংক একীভূত হবে, কর্মীদের আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর
  • পাচার অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে সরকার: গভর্নর
  • নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর