জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের সময় নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’চালিয়েছে ইসরায়েল এবং যুদ্ধকৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন জেনেভায় প্রতিবেদনে অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব বলে বর্ণনা করেছে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের একটি দল হিসেবে প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জন্ম রোধের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা, যা রোম সংবিধি এবং গণহত্যা কনভেনশনের গণহত্যার অন্যতম শ্রেণি।”

কমিশন বলেছে, চিকিৎসা সরবরাহের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি ছাড়াও এই পদক্ষেপগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে জোরপূর্বক জনসাধারণকে বিবস্ত্র করেছে ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

দু–তিন দিনে পড়ার মতো মুক্তিযুদ্ধের অনবদ্য পাঁচ উপন্যাস

মুক্তিযুদ্ধের বঞ্চনা ও প্রতিরোধের মর্ম অনুধাবন ও সামষ্টিকভাবে জাতীয় চেতনাবোধ প্রজ্বালনে বৃহৎ পরিসরের উপন্যাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। যুদ্ধের ঘটনাশ্রয়ী বড় উপন্যাসগুলো কেবল ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ দেয় না, বরং যুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা, মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং নৈতিক দ্বন্দ্বের সঙ্গে পাঠককে নিবিড়ভাবে পরিচিত করায়। আজ থাকছে যুদ্ধনির্ভর অজস্র লিখিত ভাষ্যের মধ্যে বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উপন্যাস, যেগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে আখ্যানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে সচেতন করতে সক্ষম এবং যুদ্ধের অভিঘাত, ত্যাগ ও প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করে।

১. রাইফেল রোটি আওরাত

‘রাইফেল রোটি আওরাত’ আনোয়ার পাশার (১৯২৮-১৯৭১) মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে রচিত একটি কালজয়ী উপন্যাস। ১৮২ পৃষ্ঠার এ উপন্যাসের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে ২৮ মার্চের ভোর পর্যন্ত মাত্র তিন দিনের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে। এতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসলীলার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উদগ্র বীভৎসতায়। কেন্দ্রীয় চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন, যিনি সপরিবার টিচার্স কোয়ার্টারের ২৩ নম্বর ভবনে থাকতেন। চারপাশে সহকর্মী ও ছাত্রদের লাশের স্তূপের মাঝেও সুদীপ্ত শাহীন ও তাঁর পরিবার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এই বেঁচে থাকার অপরাধবোধ, ভয়াবহ গণহত্যার চাক্ষুষ বিবরণ এবং নতুন ভোরের প্রতীক্ষাই উপন্যাসটির করুণ আবেদন।

আনোয়ার পাশা (১৯২৮—১৯৭১)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ইউরোভিশনের ট্রফি ফেরত দিচ্ছেন সুইস সংগীতশিল্পী নেমো
  • দু–তিন দিনে পড়ার মতো মুক্তিযুদ্ধের অনবদ্য পাঁচ উপন্যাস