ইউক্রেনকে হটিয়ে কুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি রাশিয়ার
Published: 13th, March 2025 GMT
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলার মুখে দেশটির সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের সুদঝা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছে মস্কো। গত বছরের আগস্টে হঠাৎ হামলা চালিয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল ইউক্রেন।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের আগে সুজঝা শহরে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনের দখল করা রাশিয়ার ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় শহর ছিল সুদঝা। এখন এই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর মধ্য দিয়ে সীমান্তে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকির মধ্যে পড়ল।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় সুদঝাসহ আরও দুটি এলাকা ‘স্বাধীন’ করেছে তারা। কুরস্কের মালায়া লোকনিয়া গ্রামে রুশ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির ছবিও প্রকাশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে রাশিয়ার এ দাবির পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।
এর আগে গতকাল বুধবার কুরস্ক অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখন তাঁকে সামরিক বাহিনীর পোশাকে দেখা যায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ থাকা এলাকাগুলো ‘স্বাধীন করবে’ রুশ বাহিনী।
গত এক বছর ধরেই অস্ত্র ও সেনা সদস্যদের ঘাটতির কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে পিছু হটছে ইউক্রেন। সম্প্রতি ইউক্রেন বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ এবং নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিতের পর কুরস্ক অঞ্চলেও মস্কোর অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়। এরপরই আজ শহরটি পুনরায় দখলের ঘোষণা দিল তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলি: দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ইউনূসের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট সামনে রেখে ইউনূস সতর্ক করেন যে, এটি নির্বাচন বানচাল করার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি প্রশিক্ষিত শুটার ও ক্ষমতাচ্যুত শক্তির বিরুদ্ধে জুলাইপন্থীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভুলে এক থাকার আহ্বান জানান।