চট্টগ্রামে মৃত কর্মচারীর পেনশনের অর্থ আত্মসাৎ
Published: 13th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মৃত কর্মচারী মোজাফফর আহমেদের পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের একটি টিম বিদ্যুৎ অফিসে অভিযান চালায়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে মৃত র্কমচারীর পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পান। মোজাফফর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা।
অভিযান চালানো দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বলেন, মৃত মোজাফফর বিদ্যুৎ বিভাগে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাবাক ইমাম উদ্দিনের নামে একটি জাল পাওয়ার অব অ্যর্টর্নি তৈরি করে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়েছি।
দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকের এনর্ফোসমন্টে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত জালিয়াতি করে নমিনি কর্তৃক এক অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকে টাকা উত্তোলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প নশন র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’