চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মৃত কর্মচারী মোজাফফর আহমেদের পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের একটি টিম বিদ্যুৎ অফিসে অভিযান চালায়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে মৃত র্কমচারীর পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পান। মোজাফফর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা। 

অভিযান চালানো দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বলেন, মৃত মোজাফফর বিদ্যুৎ বিভাগে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাবাক ইমাম উদ্দিনের নামে একটি জাল পাওয়ার অব অ্যর্টর্নি তৈরি করে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়েছি। 

দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকের এনর্ফোসমন্টে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত জালিয়াতি করে নমিনি কর্তৃক এক অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকে টাকা উত্তোলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প নশন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ