গত বছর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের একটি টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল। যা দুই বোর্ডের সম্মতিতে স্থগিত হয়ে যায়। আগামী অক্টোবরে ওই টি-২০ সিরিজ আয়োজনের আলোচনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। 

বিসিবি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে যৌথ আয়োজনে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় টি-২০ বিশ্বকাপ হবে। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির পরিকল্পানায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা ভাবছেন তারা। এসিবিও জানিয়েছে, সূচি চূড়ান্ত করার বিষয়ে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সিরিজটি আগে স্থগিত হয়েছিল। আমরা এরই মধ্যে এসিবির সঙ্গে সিরিজটি পুনরায় আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছি। রমজানের পর আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা তাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে পারবো আশা করছি।’ 

এসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি যদি এফটিপির (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) দিকে তাকান, উইন্ডোতে (২-১২ অক্টোবর) ছোট্ট একটা গ্যাপ চোখে পড়বে। আমরা সময় ও সূচি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ২০২৪ সালের জুনে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা ছিল। দুই টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ছিল। সিরিজটির স্বাগতিক ছিল আফগানিস্তান। ভারতে তারা ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ভারতের নির্ধারিত অঞ্চলে বৃষ্টির মৌসুম ছিল। 

যে কারণে বিসিবি সিরিজ খেলতে সম্মত হয়নি। পরে  নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল দুই দল। যা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির অংশ। এবার আলোর মুখ দেখতে প পারে টি-২০ সিরিজ। দুই বোর্ড ফাঁকা সূচি পেলে টেস্ট সিরিজও খেলার বিষয়ে আশাবাদী। 

বাংলাদেশ আগামী এপ্রিলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও এশিয়া কাপ আছে টাইগারদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে এফটিপির বাইরে ঘরের মাঠে সাদা বলের সিরিজ খেলার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। সঙ্গে যোগ হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত এক বছর কাটবে ক্রিকেটারদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ আফগ ন স ত ন ট ২০ স র জ আফগ ন স ত ন র ২০ স র জ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে

জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।

এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ