ফরিদপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দিতে মাগুরা থেকে ফরিদপুরগামী ট্রাকের সঙ্গে ঢাকাগামী অপর একটি ট্রাকের সংঘর্ষে ঢাকাগামী ট্রাকের হেলপার আলি হোসেন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

খবর পেয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক দুটি জব্দ করে।

নিহত আলী হোসেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দক্ষিণ দিগং গ্রামের মো.

মজিবুর রহমানের ছেলে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রইস হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর ঘটনায় মাঝকান্দী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী উপজেলার কানখুরদিতে আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় বাকিয়ার মল্লিক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন। এ ঘটনায় আহত জালাল মিয়া (৬৭) নামে অপর এক বৃদ্ধকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত বাকিয়ার মল্লিক বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখুরদী গ্রামের মৃক হানিফ মল্লিকের ছেলে।

বোয়ালমারী থানার এসআই আব্দুর রশিদ জানান, মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় আলুবোঝাই একটি ট্রাকের চাপায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত দ ই উপজ ল র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ