বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ১৩ রমজান সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রী কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি বলেন, আমি যেহেতুক জাসাসে দায়িত্বে রয়েছি তাই জাসাস এর কথা বলব। জাসাসে কোন ধরণের চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজদের জায়গা কখনো হয়নি আর হবেও না।

এই গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়নে অনেক লোক রয়েছে যাদের কোন পদ-পদবী না থাকার কারনে রাগ- অভিমান করে ঘরে বসে রয়েছেন। গোগনগরের সাথে আমার একটা সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯১ সালে কমান্ডার সিরাজ সাহেবকে নিয়ে এই গোগনগরে নির্বাচনে থেকে সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম।

কখনো কমান্ডার সিরাজ কখনও এড.

আবুল কালাম সাহেবকে নিয়ে।  এই এলাকার কদমতলী ও শহীদনগর ব্রিজটা আমি করে দিয়েছি। যার কারনে আপনাদের সাথে আমার একটা আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, জাসাসের অনেকেই ছিল আজ তারা নেই। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আজকে যে সমস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছে তাদের বাড়ির দাড়োয়ান, কাজের বুয়ারাও পদ-পদবী পায়। আসলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুযোগ পায় না। যেহেতু জাসাসে সুযোগ রয়েছে।

আমি জাসাসের নেতা-কর্মীদেরকে বলব আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের রাগ ভাঙ্গাবেন। যদি আপনারা না পারেন আমাকে বলবেন আমি জাসাসের পতাকা তলে নিয়ে আসব এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবো।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকেরা হারিয়ে যেতে পারেনা। তবে এও লক্ষ্য রাখবেন অন্য কোন দলের লোক যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং কোন চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজদের জায়গা জাসাসে দিব না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাস সভাপতি মোঃ স্বপন চৌধুরী বলেন, আমরা  জাসাস সংগঠনের সাথে জড়িত জানবেন যারাআমরা প্রত্যেকেই সৌভাগ্যবান। আমরা এ কারনে সৌভাগ্যবান যে বিএনপির নয়টি সহযোগী সংগঠনের মধ্যে আমাদের সংগঠনের স্থান চতুর্থ।

আমরা এজন্য সৌভাগ্যবান কারন, জাসাস এর যিনি কর্ণধার তিনি সারা বাংলাদেশের মধ্যে তিন জনের মধ্য একজন। তিনি হলেন আমাদের আনিসুল ইসলাম সানি ভাই। আমাদের এ সৌভাগ্যটাকে কাজে লাগিয়ে সানি ভাইয়ের হাতকে আরোও শক্তিশালী করতে হবে।

স্বপন চৌধুরী আরো বলেন, আজকে স্টেজে বসা এড. সরকার হুমায়ন কবীর ভাইয়ের কাছ থেকে আমি ছাত্রদলের রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিয়ে চলে গেলাম যুবদলে। এরপর ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে সানির ভাইয়ের ছাতার নিচে এসে জাসাসের রাজনীতি শুরু করি।

জাসাস করে আমি অর্থ ছাড়া অনেক কিছুই পেয়েছি। কারন আমার নেতাইতো কামায় না। আমার নেতা চিন্তা করে জনগণ, সমাজ ও দেশের জন্য। আমি সানি ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে ক্লীন ইমেজ নিয়ে রাজনীতি করতে হয়। তাই  জাসাস যারা করে তারা সবাই স্মার্ট। 

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাসাস এর সভাপতি কবীর শিকদার এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম এর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.সরকার হুমায়ন কবীর, জেলা জাসাস সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সেক্রেটারী মাহবুব মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাধীন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ডা. এম এ লতিফ, মুক্তার হোসেন, আলমগীর হোসেন রানা, এ কে এম আনোয়ার হোসেন সুমন, আবুল কাসেম, আলীরটেক ইউনিয়ন জাসাস সভাপতি দিদার হোসেন, ইয়ার হোসেন মোল্লা আকরাম হোসেন সাগর প্রমুখ। 

এছাড়াও আয়োজকদের মধ্যে অভ্যর্থনায় ছিলেন, গোগনগর ইউনিয়ন জাসাস সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ সিকদার, জামান সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোতালিব ও আক্তার হোসেন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম স গ গনগর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার