মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে বদলে যাচ্ছে ব্যাকটেরিয়ার আচরণ
Published: 15th, March 2025 GMT
ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক–দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। প্রাণ ও পরিবেশ কেউই যেন রেহাই পাচ্ছে না প্লাস্টিকের ভয়ংকর থাবা থেকে। মানুষের রক্ত ও বুকের দুধে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁজ মিলেছে বেশ আগেই। এবার মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি আরও বেশি প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মাইক্রোপ্লাস্টিক ব্যাকটেরিয়ার বিপক্ষে ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যান্টিবায়োটিক–প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
পাঁচ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিকের টুকরা এখন পরিবেশ থেকে শুরু করে মানবদেহে দেখা যাচ্ছে। আর তাই মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসার সময় ই কোলি ব্যাকটেরিয়া কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিকের পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া বিকশিত হয়ে বায়োফিল্ম নামের একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করতে পারে।
অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, বায়োফিল্মের কারণে মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ওষুধই কাজ করেনি। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের বায়োফিল্ম কাচের মতো অন্যান্য পৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। এই স্তর বেশ ঘন। পলিস্টাইরিন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এটিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিজ্ঞানী মুহাম্মদ জামান বলেন, আমাদের চারপাশে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার এমন আচরণ উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আর তাই অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সুপারবাগের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: ইউরোনিউজ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে