ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত ২৩, ভয়ংকর পরিণতির হুমকি ট্রাম্পের
Published: 16th, March 2025 GMT
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গতকাল শনিবার থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।
আল–জাজিরা জানাচ্ছে, মার্কিন হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে দেশটির সাদা শহরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ থেকে ১০ জন হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। হুতিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আল মাসিরাহ টেলিভিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে হুতি–নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি বলছে, মার্কিন হামলায় ১৫ জন নিহত এবং আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
ইরান সমর্থিত হুতিরা ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।
এর জবাবে ইয়েমেনে ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী’ হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান এই হামলাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের অর্থায়নে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আমাদের সেনা আর মিত্রদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তাদের (হুতি) জলদস্যুতা, সহিংসতা আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।’
এদিকে হামলার জবাব দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে হুতিরা। এক বিবৃতিতে হুতি বলেছে, রাজধানী সানায় আবাসিক এলাকায় ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ আগ্রাসনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দায়ী। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে শনিবারের হামলায় যুক্তরাজ্য সরাসরি অংশ নেয়নি। বরং দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে নিয়মিত সহায়তা করে আসছে।
আরও পড়ুনহুতিদের ওপর বড় ধরনের হামলা শুরু যুক্তরাষ্ট্রের৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ শ্রীলঙ্কার
‘আমাদের লর্ডসে থাকার কথা ছিল। আর আমরা এখন কোথায়।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে গলে টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চক্র শুরুর আগে সতীর্থদের এই কথাই বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চক্রে শ্রীলঙ্কা ছয়ে থেকে শেষ করেছে। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ছিল তারা। সমীকরণ ছিল কঠিন। যার ধারে কাছে যেতে পারেনি লঙ্কানরা।
গত চক্রের শেষ ধাপে শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে খেলেছে দুই টেস্ট। ওই চার টেস্টের তিনটিতে জিততে পারলেই ফাইনালে যেতে পারত তারা। অজিদের হারাতে ঘরে স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়েও লাভ করতে পারেনি লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ রাখছেন বলে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক সিলভা, ‘আমাদের ফাইনালে খেলার ভালো সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা পারিনি। নতুন চক্রে আমরা জানি, ঘরের মাঠে সিরিজগুলো জিততে হবে। আমরা ঘরে সম্ভাব্য সব পয়েন্ট তুলতে চাই। ঘরে সিরিজ শুরু করার এটা দারুণ সুযোগ।’
তবে নতুন চক্রে লঙ্কানদের জন্য চ্যালেঞ্জও আছে। দিমুথ করুনারত্নে অবসর নিয়েছেন। অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস গল টেস্ট দিয়ে অবসর নেবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কোন টেস্ট না খেলা ছয় ক্রিকেটার ডাক পেয়েছেন। ডি সিলভা অবশ্য তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড়ও বেরিয়েছে। তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’