দেশ একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, টিসিবির পণ্যের জন্য লম্বা লাইন দেখেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা কী, সেটা বোঝা যায়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরছেন। অন্যদিকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জি এম কাদের এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। মনে হচ্ছে, দেশ একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সামনের দিনগুলো কেমন হবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, সামাজিক অস্থিরতার কারণে নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনমাফিক অর্থসহায়তা দিতে পারছে না। অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেকারত্ব ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক।’

এ সময় জাপার চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী ও দলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক সম্পাদক এলাহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক পর স থ ত এম ক দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাইওয়ানে বিরুদ্ধে বেইজিং কোনো পদক্ষেপ নেবে না, কারণ ‘তারা এর পরিণতি কী হতে পারে তা জানে’। খবর আনাদোলুর।

রবিবার সিবিএস ৬০ মিনিটসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) এবং তার কর্মকর্তারা খোলাখুলিভাবে বলেছেন, ‘ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমরা কখনোই কিছু করব না’, কারণ তারা জানে এর পরিণতি কী হবে।” 

আরো পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

চীন আক্রমণ করলে তিনি মার্কিন বাহিনীকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার নির্দেশ দেবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, “এটি ঘটলে আপনি জানতে পারবেন এবং তিনি (শি জিনপিং) এর উত্তর বোঝেন।”

ট্রাম্প জানান, এশিয়া সফরকালে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গটি আসেনি। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বাদ পড়ার ঘটনায় অনেকেই অবাক হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, “বৈঠকে তিনি (শি জিনপিং) এটি উত্থাপন করেননি, কারণ তিনি এটি বোঝেন ও খুব ভালোভাবে বোঝেন।”

তবে, জিনপিং কী বোঝেন তা ব্যাখ্যা করার জন্য চাপ দেওয়া হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “এটি অন্য পক্ষ জানে, কিন্তু আমি এমন কেউ নই যে আপনাকে সবকিছু প্রকাশ্যে বলবো।”

তাইওয়ান ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উত্তেজনাপূর্ণ বিষয়। বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ বলে মনে করে, অন্যদিকে তাইপে ১৯৪৯ সাল থেকে স্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে আসছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ