দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক গৃহবধূকে (৩৬) ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আবদুল খালেক (৪৭) নামের এক পানের দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার সকালে ঘোড়াঘাট পৌরসভার একটি ওয়ার্ডে ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকাবাসী আবদুল খালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত আবদুল খালেক একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা করেন ওই নারী। পরে ওই মামলায় আবদুল খালেককে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ওই নারী বাড়ির অদূরে একটি বাগানে শুকনা পাতা ও খড়ি কুড়াতে যান। এ সময় তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান আবদুল খালেক। তখন ওই নারীর চিৎকারে তাঁর স্বামীসহ লোকজন জড়ো হলে খালেক পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে খালেককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গতকাল বিকেলে ভুক্তভোগী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে আটক আবদুল খালেককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল খ ল ক ওই ন র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ