বাইডেনের ছেলের নিরাপত্তায় ১৮ এজেন্ট, সবাইকে প্রত্যাহার করছেন ট্রাম্প
Published: 18th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের সরকারি দেহরক্ষীদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ জো বাইডেনের মেয়ে অ্যাশলি বাইডেনের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘হান্টার বাইডেনের নিরাপত্তায় ১৮ জনের বেশি মানুষ নিয়োজিত। এটি “হাস্যকর” ব্যাপার।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, হান্টার বাইডেন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছুটি কাটিয়েছেন।
ওই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘দয়া করে জেনে রাখুন, খুব শিগগির হান্টার বাইডেন আর সিক্রেট সার্ভিসের সুরক্ষা পাবেন না। একইভাবে অ্যাশলি বাইডেনের ১৩ জন এজেন্টকেও প্রত্যাহার করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইন শুধু দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের স্ত্রীদের সুরক্ষা দেয়। তবে তাঁদের সন্তানদের বয়স ১৬ বছরের কম হলে তাদেরও সুরক্ষা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের সুরক্ষা দেওয়ার বিধান না থাকলেও ক্ষমতা ছাড়ার পর তাঁরা প্রায়ই তাঁদের সন্তানদের জন্য সরকারি নিরাপত্তার বাড়িয়ে নেন।
ট্রাম্পের পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সিক্রেট সার্ভিসের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, হান্টার ও অ্যাশলি বাইডেনের সুরক্ষা বাতিলের বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত আছেন। তিনি বলেন, সিক্রেট সার্ভিস এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।
বছরের পর বছর ধরে রিপাবলিকানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হান্টার বাইডেন। জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার কিছু আগে বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতার শেষ দিকে তাঁর বন্দুক ও কর–সংক্রান্ত অপরাধ ক্ষমা করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
গতকাল সোমবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বাইডেনের জারি করা ক্ষমা বাতিল করতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এ পদক্ষেপের আইনি ভিত্তি অস্পষ্ট ও এটি নজিরবিহীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী