তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে দারুণ জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। বুধবার (১৯ মার্চ, ২০২৫) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ২ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্স ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে। জবাবে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৮.৩ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

গুলশানকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন নাঈম ইসলাম, ইলিয়াস সানী ও ফরহাদ রেজা। নাঈম ৬০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। সানী ৬২ বলে করেন ৫৩ রান। শেষ দিকে ফরহাদ ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তিনিই পেয়েছেন।

ভালো শুরু পেলেও বড় রান পাননি লিটন দাস। ৪০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করেন লিটন। এছাড়া ১৭ বলে ৩০ রান করেন জাওয়াদ আবরার। ব্রাদার্সের হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন সোহাগ গাজী। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২ উইকেট নেন শফিউল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

ইমরুলের ৮৬, সেঞ্চুরি করেও ম্লান রাফসানের হাসি

শেষ বলে ৪ মেরে মজিদের সেঞ্চুরি ও রূপগঞ্জের জয়

এর আগে তাদের ব্যাটিংয়ে আলো কেড়ে নেন বিশাল চৌধুরী। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৭৫ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারলে পূর্ণতা পেত। এছাড়া মিজানুর রহমান ৫০ এবং আইচ মোল্লা ৬৫ রান করেন। শেষ দিকে অলোকের ২৯ বলে ৩১ এবং সোহাগের ৮ বলে ১৭ রানের ইনিংসে তিনশর কাছাকাছি স্কোর পায় ব্রাদার্স। কিন্তু জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

বোলিংয়ে গুলশানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান পায়েল। গুলশানের এটি ছয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। ব্রাদার্সের সমান ম্যাচে পঞ্চম হার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ