রাম নবমীর জন্য নিরাপত্তাহীনতায় আইপিএলের ম্যাচ!
Published: 20th, March 2025 GMT
রাম নবমীর জন্য পিছিয়ে যেতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স-লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি জানান, এই বিষয়ে তারা বিসিসিআইকে চিঠি দিয়েছে। সেদিন পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যাবে না। তাই ৬৫ হাজার দর্শক সামলানো সম্ভব নয়। ম্যাচের দিন পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে সিএবি।
ম্যাচটি ৬ এপ্রিল ইডেনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন রাম নবমী। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিন ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
রাম নবমী উপলক্ষে সেদিন শহরে একাধিক ব়্যালি বেরোবে। ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিএবির কর্তারা। পুলিশের পক্ষে থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, সেদিন ম্যাচের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন:
নাঈম-সানী-ফরহাদ জেতালেন গুলশানকে
ইমরুলের ৮৬, সেঞ্চুরি করেও ম্লান রাফসানের হাসি
তারপরই পুরো পরিস্থিতি বিসিসিআইকে জানানো হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছুটা সময় আছে। স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলেন, ‘‘পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেদিন তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে পারবে না। পুলিশ ছাড়া ৬৫ হাজার দর্শক নিয়ে ম্যাচ করা সম্ভব নয়। আমরা সেটা বিসিসিআইকে জানিয়েছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনও সময় আছে।’’
প্রসঙ্গত, আগের বছরও রাম নবমীর দিন কলকাতায় কেকেআরের ম্যাচ পড়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ম্যাচের দিন পরিবর্তন করা হয়। আপাতত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছে ইডেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়ে আইপিএলের ঢাকে কাঠি পড়বে। তার আগে ৩৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পারফর্ম করতে পারেন অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষাল।
ঢাকা/সুচরিতা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর য প ত র ম নবম র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ